নামকরন: নরসিংহ নামীয় এক হিন্দু জমিদারের নামানুসারে অত্র ইউনিয়নের নামকরন করা হয় নরসিংহপুর। পরবর্তীতে নানা নামের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তৎকালীন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও মুরুব্বীগণ ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে নরসিংহপুর থেকে নরসিংপুর করেন। অদ্যাবদীকাল পর্যন্ত এই নামই ব্যবহার হয়ে আসছে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য: অর্থ-ঐশ্বর্যে নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিপূর্ণ নয়। তথাপি শান্তিপ্রিয় মানুষের বসবাসের জন্য নাম-ডাকে সর্বাদিক পরিচিত। এ অঞ্চলের মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে কৃষি। নরসিংপুর ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য কোন হাওড় নাই। তথাপি কৃষিকাজের জ্ন্য যথেষ্ট জমি থাকায় মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কৃষিকাজের সাথে জড়িত থাকে। রাজনৈতিক নেতা কর্মী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি সহ প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ থাকায় এই অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট সচেতন। অত্র ইউনিয়নে অবস্থিত চেলানদী (যা সোনালী চেলা নামে পরিচিত) দিয়ে ভারত থেকে প্রচুর পাথর ইমপুর্ট হয়। যা এই অঞ্চলের মানুষকে পাথর ব্যবসায়ীতে রুপান্তরিত করেছে। আবার পাথর আনয়নের জন্য শ্রমিক প্রয়োজন বিধায় গরীব দুঃখি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজোর নৌকা বোঝাই হয়ে ভারত থেকে পাথর বাংলাদেশে আসে। যা পাশ্ববর্তী ছাতকে অবস্থিত ছাতক সিমেন্ট কোং ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কোম্পানী লিঃ এর শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সর্বাদিক অবদান রাখছে। এককথায় আমরা অত্র ইউনিয়নবাসী সমৃদ্ধশালী না হলেও শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে নরসিংপুর ইউনিয়ন হচ্ছে আমাদের সুখের নীড়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস